তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তরমুজের বীজের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনারা প্রতিনিয়ত তরমুজ খেয়ে থাকেন কিন্তু তরমুজের উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না।তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত
বিভিন্ন ধরনের তথ্য এই পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা পোস্টটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়লে তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন
পাশাপাশি তরমুজের বীজের উপকারিতা এবং তরমুজ সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য জেনে নিতে
পারবেন।
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তরমুজের বীজের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের খাদ্য তালিকায় তরমুজ অন্যতম একটি ভালো ফল হতে পারে
কারণ এই তরমুজে চর্বি এবং ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে এজন্য যারা অতিরিক্ত
ওজন কমাতে চাচ্ছেন কিংবা নিজের শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেক চিন্তিত রয়েছেন
তারা চাইলে প্রতিনিয়ত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
এর ফলে আপনাদের শরীরের বাড়তি ওজন অনেকাংশে কমে আসবে কারণ তরমুজে উপস্থিত
ফাইবার ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ওজন কমানোর
উপকারিতার পাশাপাশি তরমুজে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং রাসায়নিক উপাদানের
উপস্থিতি রয়েছে। ভিটামিন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন b6 ভিটামিন সি
ভিটামিন এ ইত্যাদি।
এছাড়াও এই সকল উপাদানের পাশাপাশি পটাশিয়াম এবং লাইকোপিন জাতীয় উপকারী
রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে। সাধারণত শরীর ভালো রাখতে তরমুজের গুরুত্ব
অপরিসীম তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের এবং পটাশিয়ামের উপস্থিতি থাকায় আপনার
শরীর ভালো রাখতে তরমুজ অনেক কার্যকরী পাশাপাশি আপনি প্রতিনিয়ত তরমুজ খেলে
আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে।
তরমুজ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত কার্যকরী উপকারী একটি ফল। এ সকল উপকারিতার পাশাপাশি তরমুজের কিছু
অপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম অপকারিতা হলো আপনাদের যাদের হজমজনিত সমস্যা
রয়েছে তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খাওয়া কখনোই উচিত নয়।
কারণ তরমুজে ডায়েটেরি ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে পানির উপস্থিতি লক্ষ্য করা
যায়। এই সকল উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে এজন্য আপনি যদি বেশি পরিমাণে তরমুজ
খাওয়া শুরু করেন সে ক্ষেত্রে আপনার গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার থেকে শুরু করে
ডায়রিয়া এবং বদ হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও আপনাদের যাদের ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের কখনোই বেশি তরমুজ
খাওয়া উচিত নয় কারণ তরমুজ আপনাদের রক্তের চিনির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে সাধারণত
তরমুজ স্বাস্থ্যকর ফল হলেও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭২ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত
উচ্চ হয় এর ফলে রক্তের শর্করার মাত্রাও বাড়তে শুরু করে।
এজন্য ডায়াবেটিস জনিত আক্রান্ত যে সকল রোগী রয়েছে তারা অবশ্যই তরমুজ কম
খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের
পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী। যাদের বদ অভ্যাস রয়েছে প্রতিনিয়ত অ্যালকোহল
জাতীয় দ্রব্য পান করেন তারা তরমুজ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন কারণ বেশি
পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার ফলে আপনাদের যকৃতে প্রদাহ তৈরি হতে পারে।
এর মূল কারণ হলো তরমুজে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন যা অ্যালকোহলের সঙ্গে
বিক্রিয়া করে প্রদাহ তৈরি করে থাকে যকৃতের জন্য এই ধরনের প্রদাহ অত্যন্ত
ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয় এজন্য অ্যালকোহল পান করার বদভ্যাস থাকলে তরমুজ
খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখুন। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামের উপস্থিতি
থাকে
এজন্য তরমুজ পরিমাণ মতো খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এছাড়াও এর পাশাপাশি মাংস
পেশী এবং হাড় শক্তিশালী হয় তবে আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া শুরু করেন
সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরে অতিমাত্রায় পটাশিয়াম প্রবেশ করবে এর ফলে আপনার
হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন
নাড়ীর গতি কমে যাওয়ার প্রবণতা ও অনিয়মিত স্পন্দন।
এছাড়াও বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে আপনার শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার
প্রবণতা থাকে যদি শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে শরীর থেকে
সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যেতে থাকে শরীর থেকে কোনক্রমে এই পানি যদি বের হতে না
পারে সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা গুলো হলো ক্লান্তি বোধ করা, পা ফুলে যাওয়া এবং কিডনি
দুর্বল হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা এজন্য মাত্রাতিরিক্ত তরমুজ খাবেন না পরিমাণ
মতো নিয়মমাফিক খাবেন তাহলে অবশ্যই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। সব সময়
মনে রাখবেন মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় ।
তরমুজের বীজের উপকারিতা
তরমুজ খাওয়ার ফলে যেমন অনেক ধরনের উপকারিতা লাভ করা যায় ঠিক তেমনি ভাবেই
তরমুজের বীজ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার ফলেও অনেক ধরনের উপকারিতা লাভ করা
যায়।তরমুজের বীজের উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম উপকারিতা হলো আপনার হাড় এবং
শরীর কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সাধারণত তরমুজের ব্রিজে প্রচুর পরিমাণে
ফ্যাটি এসিড এবং প্রোটিনের উপস্থিতি রয়েছে।
যা আপনার চুল এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে
এছাড়াও আপনার হাড়ের সুস্থতার জন্য তরমুজের বিজে উপস্থিত ক্যালসিয়ামের
গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও আপনার হাড়ের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আপনার
স্নায়ুগুলোকে সচল করতে এবং পেশির কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে তরমুজ অত্যন্ত
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তরমুজের বিজে জিংকের উপস্থিতি রয়েছে সাধারণত শরীরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং
অসামঞ্জস্যতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সহায়তা করে এছাড়াও জিংক আমাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এজন্য নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়িয়ে তুলতে তরমুজের বীজ খাওয়া আবশ্যক।
আপনারা যারা হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে চান এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ
স্বাস্থ্যের উন্নতি চান তারা প্রতিনিয়ত তরমুজের বীজ খেতে পারেন কারণ তরমুজের
বীজ ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভালো একটি উৎস হওয়ার ফলে এটি আপনাদের হৃদযন্ত্র ভালো
রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও আপনাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে তরমুজের বীজ
অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার হতে পারে কারণ তরমুজের বীজে অপরিশোধিত চর্বি এবং আঁশ
এর উপস্থিতি রয়েছে।
যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে
থাকে। এছাড়াও তরমুজের বীজে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় যা আপনার
হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আপনারা চাইলে তরমুজের বীজ রান্না করেও খেতে
পারেন। তরমুজের বীজ খাওয়ার অভ্যাস আপনাদের ত্বক এবং চুল এর জন্য অত্যন্ত
উপকারী। তবে কখনোই মাত্রাতিরিক্ত তরমুজের বীজ খাবেন না এর
কারণ তরমুজের বিজে প্রচুর পরিমাণে আসে এর উপস্থিতি রয়েছে এজন্য আপনাদের
পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং তরমুজের ভিজে আরও রয়েছে এলার্জি উপাদান
এজন্য যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা তরমুজের বীজ এড়িয়ে চলবেন।
যাদের কিডনি জনিত সমস্যা রয়েছে যেমন কিডনি দুর্বল তাদের জন্য তরমুজের বীজ না
খাওয়াটাই উত্তম।
তরমুজের উপকারিতা
তরমুজের উপকারিতা সমূহ বলে শেষ করার মত নয় তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানির
উপস্থিতি রয়েছে আপনি যদি প্রতিনিয়ত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন
তাহলে আপনার হজম শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও যাদের সমস্যা রয়েছে
তারা প্রতিনিয়ত তরমুজ খেলে তরমুজের উপস্থিত ফাইবারের জন্য আপনার হজম শক্তি
বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা খুব দ্রুত অনেকাংশই কমে
আসবে।
সাধারণত তরমুজ ভিটামিন এ জাতীয় একটি ফল যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা যদি
প্রতিনিয়ত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার
হার্টের বিভিন্ন সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে এর পাশাপাশি আপনার শরীরের ক্ষতিকারক
কোলেস্টেরল এর মাত্রা অনেকাংশে কমে যাবে। তরমুজের উপস্থিত সিট্রোলিন যা হার্টের
জন্য অত্যন্ত ভালো এবং কার্যকরী।
এছাড়াও তরমুজ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়িয়ে তুলতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। তরমুজে ভিটামিন b6 এর উপস্থিতি রয়েছে যা
আপনার অ্যান্টিবডি গঠন করতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি আপনার শরীরে শ্বেত
রক্তকণিকা সঠিক পরিমাণে তৈরি হওয়া শুরু করে। তরমুজের উপস্থিত লাইকোপেন নামক
উপাদান চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
তরমুজে উপস্থিত ভিটামিনে মূলত কোষ গজানো থেকে শুরু করে কোষের বিভিন্ন
ক্ষতিপূরণে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এছাড়াও তরমুজে উপস্থিত ভিটামিন সি
আপনার চুলকে শক্ত করতে এবং ত্বককে কোমল করতে সহায়তা করে থাকঅ।এ ছাড়াও
আপনাদের যাদের পেশি তে বিভিন্ন কাজের ফলে ব্যথা সৃষ্টি হয়েছে এ ধরনের ব্যথা
খুব সহজেই উপশম করতে তরমুজে উপস্থিত থাকা অ্যামাইনো এসিড অত্যন্ত কার্যকরী
ভূমিকা রাখে।
তরমুজের বীজের দাম
বিভিন্ন জাতের তরমুজের বীজ পাওয়া যায় তবে বর্তমান বাজারে উচ্চ ফলনশীল
হাইব্রিড জাতের তরমুজের ব বীজের চাহিদা অনেক বেশি। যারা তরমুজ ব্যবসা রয়েছে
এবং কৃষক রয়েছেন তারা বর্তমানে এই হাইব্রিড জাতের তরমুজের বীজগুলো বেশি
ব্যবহার করছেন। সাধারণত এই হাইব্রিড জাতের তরমুজ বীজ থেকে উৎপন্ন তরমুজ ১২
কেজি থেকে ২০ কেজি হয়ে থাকে।
মূলত বর্তমানে এই তরমুজগুলোর বীজের বাজার মূল্য ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে তিনশ
ষাট টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এছাড়াও হাইব্রিড তরমুজ বীজের পাশাপাশি বিভিন্ন
ধরনের তরমুজের বীজ বাজারে লক্ষ্য করা যায় এর মধ্যে জাফরান তরমুজ বীজ অন্যতম
একটি তরমুজ বীজ। এই জাফরান তরমুজ ব্রিজের তরমুজগুলো সাধারণত ৫৮ থেকে ৬০ দিনে
অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যেই ফলন দেয় অর্থাৎ বাজারজাতকরণের উপকারী হয়।
এই জাফলং তরমুজ বীজ গুলো এক ধরনের হাইব্রিড তরমুজ বীজের অন্তর্ভুক্ত। এই
জাভ্রান্ত তরমুজ ব্রিজ গুলো মূলত ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে ৯৯০ টাকার মধ্যে
সীমাবদ্ধ। বাজার এবং সময়ের উপর নির্ভর করে এই দাম কম বেশি হতে পারে। এছাড়াও
যে স্পেশাল হাইব্রিড তরমুজ রয়েছে এই বীজগুলো সাধারণত ১০০ গ্রাম ওজনের হয়ে
থাকে।
এই স্পেশাল হাইব্রিড তরমুজ রিজেন্ট বীজ গুলোর দাম তুলনামুলক ভাবে সবচেয়ে বেশি
হয়ে থাকে মূলুল এই স্পেশাল হাইব্রিড তরমুজ রিজেন্ট ব্রিজের বর্তমান বাজার
মূল্য ৪৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৯০০ টাকা মধ্যে সীমাবদ্ধ। এছাড়াও এক প্রকারের
উচ্চ ফলনশীল স্পেশাল তরমুজ ব্রিজ রয়েছে যেটা হাইব্রিড এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত
এই তরমুজ বীজ গুলোর দ্বারা সারা বছর তরমুজ উৎপন্ন করা সম্ভব
এই বীজগুলোর দাম সাধারণত 80 টাকা থেকে শুরু হয়ে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
বর্তমান বাজারে আপনি বিভিন্ন ধরনের তরমুজ বীজ পেয়ে যাবেন কিন্তু যেই বীজ
গুলো হাইব্রিড প্রজাতির এবং প্রায় সারা বছর ফলন দিতে সক্ষম সেই সকল বীজ
সচেতনতার সহিত ক্রয় করবেন এর ফলে আপনার ফলন এবং ব্যবসা অনেক ভালো হবে।
হাইব্রিড তরমুজের জাত
বর্তমানে নানান ধরনের হাইব্রিড তরমুজের জাত এর তরমুজ লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশের বাজার এখন নানান জাতের তরমুজে ভরপুর। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে
বর্তমানে এবার তরমুজ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ এর মূল কারণ হলো
হাইব্রিড তরমুজের জাত দেশই তরমুজের জাত কিংবা দেশী তরমুজের তুলনায় হাইব্রিড
তরমুজের জাত এবং বীজগুলো অত্যন্ত মানের উন্নত হয়ে থাকে।
যেগুলো বছরের প্রায় সময় ফলন দিয়ে থাকে। মূলত তরমুজ গ্রীষ্মকালীন একটি ফল
কিন্তু বর্তমানে এই হাইব্রিড তরমুজের জাত গুলোর জন্য বছরের প্রায় অন্যান্য
সময়ও বাজারে তরমুজ লক্ষ্য করা যায় এবং বছরের অন্যান্য সময়ও মানুষ তরমুজ
খেতে পায়। বিভিন্ন ধরনের বারোমাসি তরমুজের জাত এবং হাইব্রিড তরমুজের চাষ
বর্তমানে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তরমুজ বীজের দাম
বর্তমান বাজারে আপনি বিভিন্ন দামের তরমুজের বীজ পেয়ে যাবেন। আপনি কেমন বীজ
নেবেন এবং কোন সময়ে ফলনের জন্য বীজ নিবেন সব কিছুর উপর নির্ভর করেই দামগুলো
নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানের বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড জাতের তরমুজের বীজ
পাওয়া যায় এই সকল বীজের দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে আরো বেশি হতে পারে তবে
আরো কিছু হাইব্রিড জাতীয় বীজ রয়েছে যেগুলো ৭০-৮০ টাকা থেকে শুরু হয়।
শেষ কিছু কথা
আশা করি ব্লগ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনারা তরমুজের উপকারিতা ও
অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পেরেছেন পাশাপাশি আপনারা তরমুজের
বীজের উপকারিতা সম্পর্কে এবং তরমুজ সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য গুলো জানতে
পেরেছেন। প্রতিনিয়ত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্যগুলো
সবার আগে জেনে নিতে
গুগল নিউজে
ফলো দিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন।
আপনাদের যদি এই পোস্টটিতে উল্লেখিত তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো
সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে
জানাতে ভুলবেন না।