চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা এবং চিয়া সিড এর উপকারিতা

আপনারা প্রতিনিয়ত চিয়া সিড খেয়ে থাকেন কিন্তু এর উপকারিতা জানলেও চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানেন না আজকের এই পোস্ট টিতে চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়েছে।আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনি চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা এর পাশাপাশি আপনি চিয়া সিড এর উপকারিতা গুলো জানতে পারবেন।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা এবং চিয়া সিড এর উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা এবং ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

প্রতিটা জিনিসেরই যেমন উপকার রয়েছে বা উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে অপকারিতাও রয়েছে। চিয়া সিড খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা অনেক রয়েছে এই চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম অপকারিতা গুলো হলো আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। 

কয়েকজন পরীক্ষক এবং বিজ্ঞানী মিলে গবেষণা করে তথ্য দিয়েছেন চিয়া সীড স্তন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে আপনার শরীরের ওজন অনেক বেশি কমে যেতে পারে যা আপনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চিয়া সিড এর যেই বীজ রয়েছে সেই বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি থাকে এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়। 
আর আপনার যদি স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে কোন ধরনের সমস্যা মনে হয় সেক্ষেত্রে আপনি খুব দ্রুত চিয়া সিড খাওয়া বন্ধ করে দিবেন। সাধারণত চিয়া সিড শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমিয়ে নিয়ে আসে এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে আপনার রক্তচাপ এর পরিমাণ কমে যেতে পারে। 

প্রতিনিয়ত আপনি কিভাবে চিয়া সিড গ্রহণ করছেন এটার ব্যবহারের উপর নির্ভর করেই আপনার শরীরের ওপর প্রভাব পড়বে সাধারণত আপনি যদি নিয়মমাফিক নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রতিনিয়ত চিয়া সিড খান তবে সেক্ষেত্রে আপনি সকল ধরনের অপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক গুলো থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড এর উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম উপকারিতা হলো চিয়া সিডে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি করে তুলবে এর ফলে আপনি খুব সহজেই কোন রোগে আক্রান্ত হবেন না। এছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিবিদ এবং গবেষকগণের তথ্য মতে চিয়া সিডে চিয়া সিডে ওমেগা থ্রি এর উপস্থিতি রয়েছে যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ে আসতে অত্যন্ত কার্যকরী। 

আপনার শরীরে বিভিন্ন ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসবে এবং খারাপ কোলেস্টেরলর দূর করতে চিয়া সিড অত্যন্ত কার্যকরী একটি বীজ। এছাড়াও কোলন পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে চিয়া সিড এর ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে আসে। প্রতিনিয়তিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরে এসিডিটির মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসতে এবং এসিডিটির মতো সমস্যা খুব দ্রুত কমিয়ে নিয়ে আসতে সহায়তা করে। 

আপনার মেটাবলিজম সিস্টেমকে খুব দ্রুত উন্নত করতে এবং আপনার শরীরের ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে চিয়া সিডের বিকল্প কিছু হতে পারে না অন্যতম একটি বীজ যেটি প্রতিনিয়ত খেলে আপনার শরীরের বাড়তি ওজন খুব দ্রুত কমে আসবে। এগুলোর পাশাপাশি চিয়া সিড আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ বের হতে সহায়তা করে আপনাদের যদি রাতে ঘুম না আসে এবং ভালো ঘুম না হয় সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং রোগ দেখা দেয়। 
এজন্য আপনারা যদি রাতে ভাল ঘুমাতে চান তাহলে প্রতিদিন চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এর ফলে আপনাদের ভালো ঘুম হবে। গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এর পাশাপাশি এটি আপনার চুল ত্বক এবং নখকে সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। আপনার ব্লাড সুগার বা রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ে আসতে চিয়া সিড অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম উপকারিতা গুলো হলো প্রতিনিয়ত চিয়া সিট খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে সকল ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখবে অর্থাৎ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এর ফলে আপনাকে রোগ জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করতে পারবে না। 

সাধারণত চিয়া সিড কে সুপার ফুড বলা হয় এই চিয়া সিডে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন ইত্যাদি উপাদান সমূহের উপস্থিতি রয়েছে এ সকল উপাদান গুলোর কার্যকারিতা অত্যন্ত বেশি এবং আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি চাহিদা এবং বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

এছাড়াও চিয়া সিডে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি করবে।চিয়া সিডে পটাশিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া হচ্ছে এসিডের বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। 

চিয়া সিড অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার যা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের পছন্দের একটি খাবার হতে পারে এতে উপস্থিত রয়েছে মুরগির ডিমের থেকে তিনগুণ বেশি প্রোটিন পালংশাক এর চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন এটা কতটা উপকারী আপনার শরীরের জন্য। এছাড়াও চিয়া সীড আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে 
কারণ চিয়া সিডে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। বিভিন্ন চিকিৎসকগণের তথ্য মতে চিয়া সিড ভালো ঘুম হতেও সহায়তা করে আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে নিয়ে আসতে এবং আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের এসিডিটির জনিত সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত নিয়ম মাফিক চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল

সাধারণত চিয়া সিড প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক খেলে কখনো কোন ধরনের সমস্যা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা দেয় না। অনেকেই ভেবে থাকেন চিয়া সিড কিডনির জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর বা প্রতিনিয়ত চিয়া সিড খেলে কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা কিডনির জন্য ক্ষতিকর নয় বরং চিয়া সিড প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক জেলে এটি আপনার কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

প্রতিনিয়ত চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস আপনার শারীরিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের খারাপ পদার্থ এবং খারাপ পদার্থগুলো শরীর থেকে বের করে দেয়। এছাড়াও এগুলোর পাশাপাশি শারীরিকভাবে শরীরকে মধুমেহ এবং হাইপার টেনশন নির্ধারণ করতে চিয়া সিড অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

সাধারণত চিয়া সিড খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই আপনি চাইলে দিনের যেকোনো সময় চিয়া সিড খেতে পারেন। মূলত চিয়া সিড গন্ধ এবং স্বাদ বিহীন একটি খাবার এবং এই চিয়া সিড খেতে হলে আপনার রান্না করার প্রয়োজন পড়ে না আপনি চাইলে খুব সহজেই পানিতে ভিজিয়ে রেখে বিভিন্নভাবে চিয়া সিড খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। 
আপনারা চাইলে টক দই বা সালাদ রান্না করা সবজির উপরে দিয়েও খেতে পারেন। এছাড়াও জুস,ওটস ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়মটি হলো প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন পরবর্তী দিন সকালে উঠে খালি পেটে খাবার অভ্যাস করে তুলুন। আপনি চাইলে চিয়া সিড সহ পানি ঘুমানোর আগে পান করতে পারেন।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা এবং চিয়া সিড এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য গুলো সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

এছাড়াও আপনাদের চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা এবং চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url