কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকেই কৃমি   ভুগছেন আজকের এই পোস্ট টি কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো সে প্রসঙ্গে। এই পোস্ট টি পড়লে আপনি কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এর পাশাপাশি শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

আপনার প্রতিনিয়ত ভালো মানের এবং ভালো কোন ব্র্যান্ডের কৃমির ঔষধ খুজছেন। সাধারণত কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো সেটা নির্ভর করে ব্যবহারকারীরা কোন কৃমির ঔষধটি বেশি ব্যবহার করছে এবং কোন ওষুধটি দ্বারা ব্যবহারকারীরা দ্রুত উপকার লাভ করছে। সাধারণত বর্তমান সময়ে এবং বর্তমান ঔষধ বাজারে কৃমির ভালো মানের কিছু ঔষধ রয়েছে। 

এই ওষুধ গুলোর মধ্যে অন্যতম ওষুধ গুলো হলো অ্যালবেনডাজল এই ওষুধটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যালবেন্ডাজোলাম ঔষধ নামেও পরিচিত। মূলত এই ওষুধটি সকল ধরনের পরজীবী কৃমি দূর করার জন্য এবং পরজীবী কৃমির উপদ্রব অনেকাংশেই কমিয়ে নিয়ে আসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এই কৃমির ঔষধের পাশাপাশি আরো কিছু ভালো মানের কৃমির ওষুধ রয়েছে।
এই ওষুধগুলোর মধ্যে অন্যতম ভালো ঔষধ হলো অ্যালমেক্স ট্যাবলেট। এস্তাজল ট্যাবলেট এই ট্যাবলেটটি ইবনে সিনা কোম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত কৃমিনাশক একটি ঔষধ যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪ টাকা। এছাড়াও ডিউরাজল নামক ট্যাবলেটিও কৃমিনাশক ট্যাবলেট হিসেবে পরিচিত এবং কার্যকরী একটি ট্যাবলেট।

শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত শিশুদের শরীর এবং ত্বক অত্যন্ত কোমল এবং নমনীয় হয়ে থাকে এজন্য শিশুদের সবসময় কোন খাবার খাওয়ানোর পূর্বে এবং ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত যদি ঔষধের দ্বারা বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় সেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে শিশুর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে যেতে পারে 

এজন্য শিশুদের কোন ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে। সেই ঔষধ সম্পর্কে ভালো মত জেনে নেয়া উচিত যে সে ঔষধে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা এবং শিশুরা সেই ঔষধ ব্যবহার করতে পারবে কিনা এবং শিশুদের ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ ক্রয় করা উচিত নয় 

সাধারণত এক বছর বয়স হওয়ার আগে কোন শিশুকে কৃমির ওষুধ দেয়া যাবেনা। তবে এখন বছর পার হয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে প্রতি ছয় মাস পরপর অবশ্যই শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়াবেন যা খাওয়ানোটা একজন শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরি। এবং প্রতিবার ওষুধ খাওয়ানোর পরবর্তী ৭ থেকে ১০ দিন পর পুনরায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং শিশুকে প্রাথমিক ডোজ দিতে হবে। 
মূলত কৃমিনাশক যে ঔষধ গুলো রয়েছে সেই ঔষধ গুলো শরীরে অবস্থানরত কৃমি গুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয় কিন্তু যে সকল কৃমির ডিম এবং লার্ভা রয়েছে সেগুলোকে মারতে পারে না এজন্য অবশ্যই প্রত্যেক ছয় মাস অন্তর অন্তর কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত এবং নিজের শিশুরা কৃমির ওষুধ খাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।

কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম হিসেবে প্রথমত আপনাকে এটা জানতে হবে যে আপনি কৃমিতে আক্রান্ত কিনা আপনি যদি আক্রান্ত হন তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা জানতে হবে যে সেটা কোন ধরনের যদি কৃমি শিশু সুতা বাদে অন্য কোন ধরনের কৃমিতে আক্রান্ত হলে অ্যালবেনডাজল আমাকে ওষুধটি খেয়ে দেখতে পারেন যা ৪০০ মিলিগ্রামের একটি ঔষধ। আপনি চাইলে মেবেনডাজল নামক এই ওষুধটিও খেয়ে দেখতে পারেন 

এই ওষুধটি খাওয়ার নিয়মাবলী হলো 12 ঘন্টা পর পর খেতে হবে যা তিন দিনব্যাপী চলবে। এছাড়াও আপনি পিপেরাজিন আমাকে ওষুধটি উঠে দেখতে পারেন যা চার গ্রামের। এছাড়াও আপনি যদি সুতা কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অ্যালবেনডাজল ৪০ মিলিগ্রামের ঔষধটি বা মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের ঔষধটি খেয়ে দেখতে পারেন যা অত্যন্ত কার্যকরী এবং যা সুতা কৃমির আক্রমণ থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।

গুড়া কৃমির ঔষধের নাম

গুড়া কৃমি বা পিন ওয়ার্ম একটি পরজীবী বা প্যারাসাইট। এই কৃমি সাধারণত সুতা কৃমি নামে পরিচিত।এই কৃমি মানুষের মলাশয় বা মলদ্বারে থাকে। মানুষের মলদ্বারে উপস্থিত থাকা এই কৃমির ডিমগুলোর আকার অত্যন্ত ছোট হয়ে থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না এ সকল পরজীবী গুলো মানুষের শরীরে বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ হলো তারা নিজেরা বাঁচতে চায়। 

এরা পর্যায়ক্রমে নিজেদের বংশবিস্তার করতে থাকে এবং অনেক বেশি বৃদ্ধি লাভ করে কিন্তু এরা অন্য কোন প্রাণীদের আক্রমণ করে না। গবেষকদের তথ্য মতে এই একটি গুড়া কৃমি বা সুতা কৃমি মানুষের অন্তর থেকে দিনে 0.2 মিলিমিটার রক্ত শুষে নেয় মুলত এই সমস্যার কারণে যদি শিশুরা সুতা কৃমি বা গুড়া কৃমিতে আক্রান্ত হয় তাহলে শিশুরা রক্ত শূন্যতায় ভুগে। 
এজন্য শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এবং শিশুদের রক্তশূন্যতায় ভুগলে অবশ্যই এই জিনিসটা দেখা উচিত যে সে কৃমিতে আক্রান্ত রয়েছে কিনা এবং এ বিষয়ে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই কৃমির ঔষধ গুলো খাওয়া উচিত অনেকে বিভিন্ন ধরনের ভয় এবং এর ফলে কৃমির ওষুধ গ্রহণ করেন না 

যা পরবর্তীতে আপনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। বর্তমান সময়ে গুড়া কৃমি দূর করার অন্যতম একটি ভালো এবং কার্যকরী ঔষধ হলো সোলাস ট্যাবলেট বা সোলাস সিরাপ ।এই সোলাস নামক ওষুধ টি ট্যাবলেট এবং সিরাপ দুই ভাবেই ফার্মেসি তে পাওয়া যায়। যারা প্রাপ্তবয়স্ক ট্যাবলেট খেতে পারেন তারা অবশ্যই ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন এবং যারা ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন না তারা সিরাপ খেতে পারেন। 

প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুই বছরের বেশি বয়সের হলে ১০০ মিলিগ্রাম বা এক চা চামচ করে প্রতিদিন দুইবার খেতে হবে এবং তিন দিনব্যাপী খেতে হবে এর ফলে গুড়া কৃমি বা সুতা কৃমির সংক্রমণ অনেকাংশে কমে আসবে। পরবর্তীতে যদি সংক্রমণ ঘটে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজটি দুই সপ্তাহ বা ১৫ দিনের পরে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে এর ফলে খুব দ্রুত কৃমির সংক্রমণ অনেকাংশে কমে আসবে।

বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

সাধারণত বাচ্চাদের সকল ধরনের ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত এবং সচেতনতার সহিত তাদের ঔষধ খাওয়ানো উচিত। ঠিক তেমনি ভাবে বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই দেখে নেয়া উচিত তারা আসলেই কৃমিতে আক্রান্ত কিনা। বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়মটি হলো 

এক বছরের কম বয়সী কোন বাচ্চাদের কখনোই কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। যখন বাচ্চার বয়স এক বছর এর বেশি হয়ে যাবে তখন প্রতি চার থেকে ছয় মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। বাচ্চাদের জন্য কৃমির ওষুধ হিসেবে অন্যতম একটি ভালো কৃমির ওষুধ হলো অ্যালবেনডাজোল 

যা বাচ্চাদের জন্য কৃমিনাশক ওষুধ হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দুই বছর বয়সী বা ২ বছর এর বেশি বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৪০০ মিলিগ্রামের এক ডোজ বা দুই চামচ সিরাপ এর প্রয়োজন। এবং এক থেকে দুই বছরের যে সকল বাচ্চারা রয়েছে যারা তাদের জন্য এই সিরাপটির অর্ধেক ডোজের প্রয়োজন পড়বে 
এরপরেও যদি মনে হয় যে সংক্রমণ থেকে গেছে তাহলে তিন সপ্তাহ আরো একবার খাওয়ানো যেতে পারে এই অ্যালবেনডাজোল নামক সিরাপ বা ওষুধ টি বাজারে এলবেন, সিনটেল নামেও পরিচিত। এছাড়াও ভালো মানের বাচ্চাদের জন্য আরো কয়েকটি কৃমিনাশক ঔষধ রয়েছে এর মধ্যে পাইরেনটাল পামোয়েট ,মেবেনডাজোল,লিভোমিসোল 

অন্যতম কার্যকরী এবং জনপ্রিয় ঔষধ হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত।কৃমি শরীরের শত্রু এজন্য কোন পরিস্থিতিতেই শরীরে কৃমিকে জায়গা দেয়া যাবে না অবশ্যই বাচ্চাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সময়মতো এবং নিয়মমাফিক কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তথ্যসূত্র
সহযোগী অধ্যাপক শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বড়দের কৃমির ঔষধের নাম

প্রাপ্তবয়স্ক বা বড় যে সকল মানুষ রয়েছেন তারা চাইলে কৃমিনাশক ঔষধ হিসেবে অ্যালবেনডাজোল নামক ওষুধটি নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাদের শরীরে কৃমির আক্রমণ বা আপনারা যদি কৃমিতে আক্রান্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই কৃমির সংক্রমণ খুব দ্রুত অনেকাংশেই কমিয়ে নিয়ে আসবে। 

এছাড়াও আপনারা যারা প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন তারা চাইলে ডিউরাজল এই ট্যাবলেট টি খেতে পারেন যা আপনাদের কৃমির সংক্রমণ কমিয়ে নিয়ে আসতে অনেক বেশি কার্যকরি পরবর্তীতে আপনারা খুব সহজেই কৃমিতে আক্রান্ত হবেন না কিন্তু সকল ধরনের কৃমিনাশক ওষুধ আপনার শরীরে অবস্থানরত সকলকে মেরে ফেলতে সক্ষম হলেও।
কখনোই যে সকল কৃমির ডিম এবং লার্ভা রয়েছে সেগুলোকে মেরে ফেলতে পারেনা এজন্য প্রতি চার থেকে ছয় মাস পরপর পর্যায়ক্রমে এভাবেই কৃমির ওষুধ খেতে হয় যদি আপনি সময়মতো এবং নিয়মমাফিক কৃমির ওষুধ না গ্রহণ করেন তাহলে আপনি কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারেন এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ গ্রহন করুন।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য গুলো সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

এছাড়াও আপনাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url