কানের ব্যাথার ঔষধের নাম যা খেলে সহজেই কমবে কান ব্যথা

আজকের এই পোস্টটিতে আমরা কানের ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই পোস্টটি পড়লে আপনি কানের ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়াও কানের ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো জানার পাশাপাশি আপনি কান ব্যথার এন্টিবায়োটিক হিসেবে যে সকল ঔষধ গ্রহণ করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
কানের ব্যাথার ঔষধের নাম
কানের ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে এবং কান ব্যথার এন্টিবায়োটিক হিসেবে যে সকল এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করবেন সে সম্পর্কে জানতে পোস্টটি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

কানের ব্যাথার ঔষধের নাম

আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা কানের ব্যথায় দীর্ঘদিন যাবত ভুগছেন কিন্তু কানের ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো জানেন না।বর্তমানে ওষুধের বাজারে কিছু ভালো মানের ওষুধ রয়েছে যা খেলে খুব দ্রুত কানের ব্যথা অনেকাংশেই কমে আসবে। আপনারা যদি নিয়মমাফিক প্রতিনিয়ত কানের ব্যথা দূরীকরণের এই ঔষধ গুলো খান। 

তাহলে খুব দ্রুত আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়। বর্তমানে কানের ব্যথা নিরাময়ের কিছু ঔষধ রয়েছে যে ঔষধ গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ঔষধ গুলো হলো নর্স্টা‌র টি জেড ট্যাবলেট,নরলক্স টি জেড ট্যাবলেট,নরফ্লোওক টি জেড ৪০০এম জি এর ট্যাবলেট ইত্যাদি। এই ওষুধগুলো আপনারা চাইলে কানের ব্যথা নিরাময়ের জন্য খেতে পারেন এছাড়াও আপনারা চাইলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ঔষধটি সেবন করতে পারেন এই ঔষধ গুলোর বিকল্প ঔষধ হিসেবে আপনারা নর্ডি‌স নামক এই ট্যাবলেটটি ব্যবহার করতে পারেন যা ৪০০ এমজির একটি ট্যাবলেট ভালো মানের ডাক্তারগণ নর্ডি‌স ৪০০এম জি এই ট্যাবলেট টি নিজেদের কাছে আসা রোগীদের খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কান ব্যথার এন্টিবায়োটিক

বর্তমান সময়ে অনেকেই কান ব্যথায় ভুগছেন বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাওয়ার হলেও কান ব্যথা ভালো হচ্ছে না সে ক্ষেত্রে কান ব্যাথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মমাফিক খাওয়া যেতে পারে বর্তমান ঔষধ বাজারে কিছু ভালো মানের কান ব্যাথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক খেলে খুব দ্রুত আপনার কানের অভ্যন্তরে যেসব ব্যথা রয়েছে এবং অসহনীয় ব্যাথা অনেকাংশেই কমে আসবে। 

আপনারা চাইলে এসফেক্স ৫০০ এমজি এই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করতে পারেন যা কানের ব্যথার এন্টিবায়োটিক হিসেবে অত্যন্ত ভালো একটি ঔষধ এবং বিশেষ বিশেষ ডাক্তারগণ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের চিকিৎসা হিসেবে বা বিভিন্ন হার সংক্রমণ এছাড়াও শ্বাস যন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা এবং কানের সমস্যায় এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

আপনারা ও অন্যান্য ঔষধ খেয়ে যদি ভালো কোন ফলাফল না পান সেক্ষেত্রে কান ব্যথার এন্টিবায়োটিক হিসেবে নিঃসন্দেহে এসফেক্স ৫০০ এমজি এই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করতে পারেন যা অন্যান্য কান ব্যাথার ঔষধের তুলনায় খুব দ্রুত আপনার কান ব্যথা অনেক আছেই কমিয়ে নিয়ে আসবে।

কানের ব্যাথার ঔষধের নাম বাংলাদেশ

সাধারণত এই ধরনের ছোটখাটো সমস্যা যেমন দেহের বিভিন্ন অংশের ব্যথা অর্থাৎ কান ব্যাথার মত ঔষধ বাহিরের দেশ থেকে আমদানি করার প্রয়োজন পড়ে না। বর্তমানে বাংলাদেশেই কান ব্যথা খুব সহজেই অনেকাংশে কমিয়ে নিয়ে আসার মত অনেক ধরনের ঔষধ রয়েছে কিন্তু যারা ভালো ডাক্তার রয়েছেন তারা সব সময় কান ব্যথা দূরীকরণের জন্য নরলক্স টি জেড ট্যাবলেট ,নরফ্লোওক টি জেড এবং নর্স্টা‌র টি জেড ট্যাবলেট এই ধরনের ওষুধ গুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন
যা খুব সহজে কান ব্যাথা কমিয়ে নিয়ে আসতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কানের ব্যথা খুব সহজেই দূর করতে আপনারা সিপ্রসিন ৫০০ এমজি এর ট্যাবলেট টিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে কিছু কিছু ডাক্তার রয়েছে যারা কানের ব্যথা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রফেন নামক ওষুধ টি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কানে ব্যথা কমানোর উপায়

কানের মধ্যেকার যেকোনো ধরনের ব্যথা খুব সহজেই কমিয়ে নিয়ে আসতে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যে সকল পদ্ধতি সঠিক নিয়ম অনুসারে পালন করলে খুব সহজে কানের ব্যথা অনেক অনেক সেই কমে আসে এই কানে ব্যথা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম উপায় হল কানে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা সাধারণত অলিভ অয়েল কানের ব্যথা কমিয়ে নিয়ে আসতে অত্যন্ত কার্যকরী। 

এছাড়াও যেকোনো ধরনের ব্যথা এবং বিভিন্ন বেদনা কমিয়ে নিয়ে আসতে রসুন খুব ভালো কাজ করে আপনারা চাইলে এক্ষেত্রে রসুনের ব্যবহার করতে পারেন। যদি কানের ব্যথা বেশি থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনারা পেঁয়াজের রস গরম করে তিন থেকে চার ফোঁটা কানে দিন এর ফলে কান অনেকটা কমে আসবে। যদি আপনার কানের ব্যথা মধ্যাকর বা অভ্যন্তরীণ ব্যথা না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনারা গরম পানির বোতলের ব্যবহার করতে পারেন। 

কারণ যে কোন ব্যথায় গরম পানির বোতল ব্যবহার করলে বা গরম পানি দ্বারা সেঁক দিলে সেই ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম অনুভব করা যায় এবং ব্যথা অনেকাংশেই কমে আসে। এগুলোর পাশাপাশি আপনারা অন্যতম একটি ভালো মাধ্যম হিসেবে পেপারমেন্ট বা পুদিনা পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন মূলত যদি না পাতার রস আপনি ড্রপার নিয়ে কানে দিতে পারেন 
তবে সেক্ষেত্রে খুব সহজেই আপনাদের কানের ব্যথা অনেকাংশে কমে আসবে এবং আপনারা শান্তি অনুভব করবেন। এছাড়াও আপনারা এইসব পন্থা অবলম্বন করার পাশাপাশি যখন কানে ব্যথা করবে সে সময় শুয়ে থাকার পরিবর্তে সোজা অবস্থায় মধ্য কর্নে চাপ দিয়ে বিশ্রাম নিবেন এতে করে আপনাদের কানের ব্যথা উপশম হবে।

কানের ব্যাথার ড্রপের নাম

অনেক রোগী রয়েছেন যাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়েও কানের ব্যথা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারছেন না সে ক্ষেত্রে কানের ব্যথা কমিয়ে নিয়ে আসতে কানের ব্যথার ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে যা কানের ব্যথা কমিয়ে নিয়ে আসতে অন্যতম কার্যকরী একটি পন্থা। তবে আপনারা যদি কানের ব্যথার ড্রপ ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

কানের ব্যাথার ড্রপগুলোর মধ্যে অন্যতম ড্রপ গুলো হলো ওটিফ্লক্স ইয়ার ড্রপ ,ওফোডল ইয়ার ড্রপ,ওটোলাক্স ও ইয়ার ড্রপ,বেস্টোফ্লক্স সি আই ইয়ার ড্রপ ,ওটো-স্যাপ ইয়ার ড্রপ ইত্যাদি এ সকল ড্রপগুলো যদি আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিয়মমাফিক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনাদের কানের ব্যাথার খুব সহজে অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করা যায়।

বাচ্চাদের কানের ব্যাথার ঔষধের নাম

সাধারণত বাচ্চাদের যে কোন ধরনের ও অসুখ বা রোগ খুবই সচেতনতার সহিত মোকাবেলা করা উচিত এবং তাদের যেকোনো ধরনের রোগ হলে সে সকল রোগ অবহেলা না করে তাদের খেয়াল রাখা উচিত। যদি বাচ্চাদের কান অতিরিক্ত বা অসহনীয় ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে নর্স্টা‌র টি জেড ট্যাবলেট টি ব্যবহার করা যেতে পারে যা প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শুরু করে বাচ্চাদের কানের ব্যথা কমিয়ে নিয়ে আসতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওষুধ। 

এই ট্যাবলেট এর পরিবর্তে আরো কিছু ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো ডাক্তাররা তাদের রোগীদের হবে ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে এর মধ্যে অন্যতম ট্যাবলেট হলো নরলক্স টি জেড ট্যাবলেট ,নরফ্লোওক টি জেড ৪০০এম জি,নর্ডি‌স ৪০০এম জি ইত্যাদি এ সকলই নিয়মমাফিক কোন বাচ্চাকে খাওয়ানো হয় সেক্ষেত্রে খুব সহজেই বাচ্চাদের কানের ব্যথা কমে আসবে। 
আপনারা চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই বাচ্চাদের সচেতনতার সহিত এই ঔষধ গুলো খাওয়াবেন। যদি এরপরেও না কমে সেক্ষেত্রে পুনরায় ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং সেই অনুযায়ী বাচ্চাদের ঔষধ খাওয়াবেন।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার পরে কানের ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি কান ব্যাথা কমিয়ে নিয়ে আসতে কান ব্যথার এন্টিবায়োটিক হিসেবে যে ওষুধ খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

এগুলোর পাশাপাশি আপনাদের যদি কানের ব্যাথার ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url